,

লেবুর দেশেই ‘লেবুর আকাল’

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোজনরসিকদের কাছে লেবু একটি অপরিহার্য ফল। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লেবুর চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এখানকার বিভিন্ন পাহাড়ি টিলা এ কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু গত কয়েক দিনে লেবুর দাম প্রতি পিসে বেড়েছে ৫-৭ টাকা করে। লেবুর দেশেই এখন লেবুর আকাশছোঁয়া দাম। আগের চেয়ে তিনগুণ দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্যটি। লেবুচাষী ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও তাদের দাবি, রোজা উপলক্ষে এই খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়েনি। বাজারে সরবরাহ না থাকায় লেবুর দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন লেবুর আড়ত ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে লেবুর দাম আকাশচুম্বী। যে লেবু আগে প্রতি পিস ২-৫ টাকা বিক্রি হতো, এখন সেটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮-১৫ টাকায়। খুচরা বাজারে মানভেদে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দামে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবুর মৌসুম হচ্ছে বর্ষাকাল। এ সময় প্রচুর লেবু উৎপাদিত হয়। তখন দামও থাকে কম। শুকনো মৌসুমে লেবুর উৎপাদন প্রাকৃতিক কারণেই কমে যায়। যারা গাছের বাড়তি যত্ন করেন, তাদের বাগানে সব সময় লেবু থাকে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে রোজায় লেবুর চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে।
ক্রেতা ফয়েজ রহমান জানান, ইফতারির সময় লেবুর শরবত পান করতে তিনি এক হালি লেবু কিনেছেন ৬০ টাকা দিয়ে। আবার এসব লেবুর রসও কম। অথচ কিছু দিন আগে একই সাইজের লেবু ২৫ টাকা হালিতে কিনেছিলেন। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ খাবার স্যালাইনের সঙ্গে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মেটানো হবে বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এখন লেবুর মৌসুম না। বর্তমানে যে লেবু পাওয়া যাচ্ছে, তাতে রস কম। চাহিদার চেয়ে যোগান কম, এ জন্য দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টি শুরু হলেই এক মাসের মধ্যে লেবু পরিপক্ব হবে। তখন যোগান বেড়ে যাবে, দামও কমবে।


     এই বিভাগের আরো খবর